বর্তমানে দেশজুড়ে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা সমাজে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে। “অন্যের জন্য যে গর্ত খনন করে, সে যদি পড়ার উপযুক্ত না হয়, তবে সেই গর্তে নিজেকে পড়তে হয়”—এই প্রবাদটি এমন পরিস্থিতির প্রতীকী চিত্র তুলে ধরছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং অন্যদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে চায়, তাদের জন্য শেষপর্যন্ত সেই গর্তে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেক শাসক, যাদের হাতে ক্ষমতা রয়েছে, তারা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের দমন করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। তবে এসব পদক্ষেপের ফলে শুধুমাত্র বিরোধীরা নয়, বরং তারা নিজেও বিপদের মুখোমুখি হচ্ছে।
গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং স্বৈরাচারী শাসনের ফলে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। বিভিন্ন দেশে জনগণ যখন তাদের অধিকার রক্ষার জন্য সংগঠিত হচ্ছে, তখন শাসকদের জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের গর্ত খনন করা শাসকদের জন্য তাদের নিজেদের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় শাস্তির দাবি তুলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি শাসকরা দ্রুত নিজেদের আচরণ পরিবর্তন না করে এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা না দেখায়, তাহলে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে এক অনিবার্য পরিণতি—অর্থাৎ, নিজেদের খোঁড়া গর্তে পড়ার অভিজ্ঞতা।
এমন পরিস্থিতিতে, জনগণের মধ্যে সচেতনতা এবং আন্দোলন বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা একদিন সত্যিকার পরিবর্তনের সূচনা করবে।